আর্কটিক মহাসাগর বা উত্তর মহাসাগর পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর। এ মহাসাগর ভৌগোলিক ভাবে পৃথিবীর উত্তর মেরুর দিকে অবস্থান করে বিধায় একে উত্তর মহাসাগর বলে। এ মহাসাগরের আয়তন প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এ মহাসাগর উত্তর আমেরিকা মহাদেশ এবং ইউরেশিয়া দ্বারা বেষ্টিত। উল্লেখ্য যে ইউরোপ এবং এশিয়াকে একত্রে ইউরেশিয়া বলে।
আর্কটিক মহাসাগর বেরিং প্রণালী দ্বারা প্রশান্ত মহাসাগরের সাথে যুক্ত হয়। বেরিং প্রণালী বেরিং সাগরের একটি সরু প্রণালী। এ প্রণালীর দ্বারা এশিয়া (রাশিয়ার অংশ) এবং উত্তর আমেরিকা (ইউ এস এ – এর আলাস্কা অঞ্চল) বিভক্ত হয়। চুকচি সাগর মূলত আর্কটিক মহাসাগরের একটি সাগর। অন্যদিকে বেরিং সাগর প্রশান্ত মহাসাগরের একটি সাগর। এই দুই সাগর যুক্ত হয় মূলত বেরিং প্রণালীর মাধ্যমে।
ভিন্নভাবে আর্কটিক মহাসাগর থেকে আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবেশ পথ রয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রিনল্যান্ড সাগর এবং ল্যাব্রাডোর সাগর অতিক্রম করে আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবেশ করতে হবে। উল্লেখ্য যে গ্রিনল্যান্ড সাগর এবং ল্যাব্রাডোর সাগরকে সংযুক্তকারী প্রণালীকে বলে ডেনমার্ক প্রণালী। এ ডেনমার্ক প্রণালী আইসল্যান্ড এবং গ্রিনল্যান্ডকেও বিভক্ত করে।
আর্কটিক মহাসাগর – বৃহত্তম সমুদ্র
সমুদ্রের নাম | আয়তন (বর্গ কিলোমিটার) |
Barents Sea | ১.৪ মিলিয়ন |
Hudson Bay | ১.২৩ মিলিয়ন |
Greenland Sea | ১.২০৫ মিলিয়ন |
East Siberian Sea | ৯,৮৭,০০০ |
Kara Sea | ৯,২৬,০০০ |
Laptev Sea | ৬,৬২,০০০ |
Chukchi Sea | ৬,২০,০০০ |
Beaufort Sea | ৪,৭৬,০০০ |
Amundsen Gulf | ৯৩,০০০ |
White Sea | ৯০,০০০ |
Pechora Sea | ৮১,২৬৩ |
Lincoln Sea | ৬৪,০০০ |